জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধীদলীয় উপনেতা জিএম কাদের বলেছেন, আমরা স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করেছি। কিন্তু দেশের মানুষ স্বাধীনতার স্বাদ পাচ্ছে না। আমরা স্বাধীনতা পেয়েছি, কিন্তু মুক্তি পাইনি। স্বাধীনতার মূল চেতনা বাস্তবায়নের মাধ্যমে দেশের মানুষকে স্বাধীনতার প্রকৃত স্বাদ দিতেই জাতীয় পার্টি রাজনীতি করছে। আমরা হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্বপ্নের নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণের মাধ্যমে দেশের মানুষের আশা আকাক্সক্ষা পূরণ করব। রাজধানীর ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের কাউন্সিল হলে এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে তিনি শনিবার এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টি এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। আলোচনা সভা শেষে জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির আহ্বায়ক শেরিফা কাদের এমপির নির্দেশনায় মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশিত হয়।

জিএম কাদের বলেন, স্বাধীনতার স্বপ্ন ছিল-দেশের মালিক জনগণ। তারাই রাষ্ট্র পরিচালনার সব ক্ষমতার মালিকানায় থাকবে। অর্থাৎ দেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে। ১৯৯১ সালের পর থেকে যে দুটি দল ক্ষমতায় ছিল তারা সংবিধান কাটছাঁট করে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্রের নামে একটি একনায়কতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত করেছে। স্বাধীনতার ৫১ বছর পার হলেও দেশের মানুষ বৈষম্য, শোষণ ও বঞ্চনা থেকে মুক্তি পায়নি। স্বাধীনতার আগে পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের সঙ্গে বৈষম্যমূলক আচরণ করেছিল। বিভিন্নভাবে আমাদের বঞ্চনা করা হতো। এখন ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট না হলে সরকারি চাকরি মেলে না। সরকার দলের জার্সি না পরলে ব্যবসা করা কঠিন।

শেরিফা কাদেরের সভাপতিত্বে সভায় জাতীয় পার্টির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি বলেন, যত বাধাই আসুক আমরা জনগণের স্বার্থ রক্ষায় রাজপথে থাকব। দুর্নীতি, দুঃশাসন ও দ্রব্যমূল্য ঊর্ধ্বগতির কারণে দেশের মানুষ অস্থির হয়ে পড়েছে। জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি বলেন, যে লক্ষ্যে আমরা স্বাধীনতা সংগ্রাম করেছি সেই লক্ষ্য অর্জিত হয়নি। ধনী ও গরিবের মধ্যে বৈষম্য অনেক বেড়ে গেছে।

জাতীয় পার্টির কো-চেয়ারম্যান সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি বলেন, বঙ্গবন্ধুর পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বাস্তবায়নে সবচেয়ে বেশি কাজ করেছেন পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।

জাতীয় সাংস্কৃতিক পার্টির সদস্য সচিব আলাউদ্দিন আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রেসিডিয়াম সদস্য সাহিদুর রহমান টেপা, শেখ মুহাম্মদ সিরাজুল ইসলাম, ফকরুল ইমাম এমপি, সুনীল শুভ রায়, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, নাজমা আক্তার এমপি, আলমগীর সিকদার লোটন, জহিরুল ইসলাম জহির, মোস্তফা আল মাহমুদ, সাবেক প্রেসিডিয়াম সদস্য আতিকুর রহমান আতিক, উপদেষ্টা রওশন আরা মান্নান এমপি,

ড. নুরুল আজহার শামীম, মনিরুল ইসলাম মিলন, এমএ কুদ্দুস খান, হাজী আবু বকর, হেনা খান পন্নী, অ্যাডভোকেট লাকী বেগম, মাহবুবুর রহমান লিপটন, মমতাজ উদ্দিন, ভাইস চেয়ারম্যান শেখ আলমগীর হোসেন, জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, সুলতান আহমেদ সেলিম, নূরুন্নাহার বেগম, শরিফুল ইসলাম সরু চৌধুরী, তারেক এ আদেল, আমির উদ্দিন আহমেদ ডালু, যুগ্ম মহাসচিব গোলাম মোহাম্মদ রাজু, শামসুল হক, ফখরুল আহসান শাহজাদা, অ্যাডভোকেট আবদুল হামিদ ভাসানী, ইকবাল হোসেন তাপস, বেলাল হোসেন, আমির হোসেন ভূঁইয়া, একেএম আশরাফুজ্জামান খান, সৈয়দ মঞ্জুর হোসেন মঞ্জু, সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য হুমায়ুন খান, মাহমুদা রহমান মুন্নি, এবিএম লিয়াকত হোসেন চাকলাদার, সৈয়দ ইফতেকার আহসান হাসান, মাখন সরকার, কাজী আবুল খায়ের, হাজি মোহাম্মদ ফারুক, সুলতান মাহমুদ, এমএ রাজ্জাক খান, বীর মুক্তিযোদ্ধা ইসহাক ভূঁইয়া, মিজানুর রহমান মিরু, গোলাম মোস্তফা, আহাদ ইউ চৌধুরী শাহীন প্রমুখ।

জাতীয় পার্টির স্বাধীনতা দিবস উদযাপন : বর্ণাঢ্য আয়োজনে শনিবার মহান স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উদযাপন করেছে জাতীয় পার্টি। সকাল সাড়ে ৭টায় জাতীয় পতাকা ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন শুরু করা হয়। জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব মো. সাহিদুর রহমান টেপা। দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া। এ সময় উপস্থিত ছিলেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান শরিফুল ইসলাম শরু চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব বেলাল হোসেন, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম দফতর সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিকসহ কেন্দ্রীয় এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা।

সকাল ৮টায় নেতারা জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান, সাবেক রাষ্ট্রপতি প্রয়াত পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের প্রতিকৃতিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ ও দোয়া করেন। পার্টির বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষ থেকেও পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।

সকাল ১০টায় জাতীয় স্মৃতিসৌধে বীর শহিদদের উদ্দেশে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও দোয়া করা হয়। এ সময় প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা মহানগর উত্তরের আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম সেন্টু, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব অ্যাডভোকেট মো. রেজাউল ইসলাম ভূঁইয়া, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, ভাইস চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলম পাঠান, শরিফুল ইসলাম শরু চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব শামসুল হক, মো. বেলাল হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক কাজী আবুল খায়ের, তথ্য ও গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম মিন্টু, যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক সমরেশ মণ্ডল মানিক, ঢাকা মহানগর নেতা মো. আলমগীর হোসেন, এসএম হাসেম, মো. আলমাস উদ্দিনসহ কেন্দ্রীয় এবং বিভিন্ন অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন

 

 

কলমকথা/ বিথী